সাফল্যে এবারও নজির জিডি স্টাডি সার্কেলের, শীর্ষে মেমারির মামুন ন্যাশনাল স্কুল

মীযান ডেস্ক: জিডি স্টাডি সার্কেলের অধীন রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ৫২টি মিশন স্কুল রয়েছে। তার মধ্যে এবার মাধ্যমিকে সবথেকে সেরা ফলাফল করেছে বর্ধমানের মেমারির মামুন ন্যাশনাল স্কুল। পতাকা শিল্পগোষ্ঠীর কর্ণধার তথা সংখ্যালঘু শিক্ষা আন্দোলনে অগ্রণী পথিক প্রবাদপ্রতীম মোস্তাক হোসেন সাহেব হলেন জিডি-র প্রতিষ্ঠাতা প্রাণপুরুষ। তাঁর নিরলস সাধনার ফসল জিডি স্টাডি সার্কেল। জিডি-র অধীনস্ত মামুন ন্যাশনাল স্কুল থেকে এবার রাজ্য মেধা তালিকায় একাদশ স্থান অধিকার করেছে জেনিফা শবনম (৬৮৩)। পূর্ব বর্ধমান জেলার গলসির বড়মুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা জেনিফার বাবা একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। জেনিফা পঞ্চম শ্রেণি থেকেই জিডি স্কলারশিপ নিয়ে এখানে পড়াশোনা করছে। আবার জিডি-র মিশনগুলোর মধ্যে যুগ্মভাবে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে মামুন ন্যাশনাল স্কুলেরই ছাত্র মাহিবুর রহমান ও নাজরিন সুলতানা (৬৭৫)। রাজ্যে এরা ১৯তম স্থান অধিকার করেছে। মুর্শিদাবাদের শামসেরগঞ্জের প্রান্তিক কৃষক পরিবারের সন্তান মাহিবুর। আর বীরভূমের দুবরাজপুরের প্রান্তিক কৃষক পরিবারের কন্যা নাজরিন। উভয়েই জিডি স্কলারশিপ পেয়ে পড়াশোনা করছে। অন্যদিকে মিশনগুলোর মধ্যে তৃতীয় এবং একইসঙ্গে রাজ্য মেধা তালিকায় ২০তম স্থান দখল করেছে মামুন ন্যাশনাল স্কুলের মুস্তাক আহমেদ (৬৭৪)। মুর্শিদাবাদের নওদার গরিব কৃষক পরিবারের এই সন্তানও জিডি স্কলারশিপের টাকায় পড়াশোনা করছে।
জিডি স্টাডি সার্কেলের অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য মিশনগুলোর মধ্যে এবার যুগ্মভাবে ৪র্থ হয়েছে সিদ্দিক এ আকবার মিশনের সাদিক আলি এবং মামুন ন্যাশনাল স্কুলের শাহিদ মোল্লা (৬৭২)। মিশনগুলোর মধ্যে যুগ্ম পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে রহমতে আলম মিশনের আশিক হোসেন গাজী এবং মামুন ন্যাশনালের আতিক শিহাব মিদ্দে (৬৭১)। যুগ্ম ষষ্ঠ হয়েছে আল মোস্তফা গার্লস মিশনের মুসকান হালদার ও মামুন ন্যাশনালের রেজোয়ানা খাতুন (৬৭০)। সপ্তম হয়েছে মামুন ন্যাশনালের রাশিদুল হক (৬৬৭)। যুগ্ম অষ্টম হয়েছে মামুন ন্যাশনালের ফারহান তানভীর এবং রহমতে আলম মিশনের লোকমান হাকিম (৬৬৬)। যুগ্ম নবম হয়েছে কালিয়াচক আবাসিক মিশনের মোহা. মোক্তাসিফ হোসেন এবং মামুন ন্যাশনালের জিয়াউর রহমান (৬৬৫)। মিশনগুলোর মধ্যে দশম স্থানে রয়েছে রহমতে আলম মিশনের হাশিম মণ্ডল, মামুন ন্যাশনালের জিয়াবুন নেসা, সুমাইয়া ও মুহা. আসিফ (৬৬৪)। জিডি মিশনের অধীনস্ত হুগলি জেলার খানাকুলে অবস্থিত নাবাবীয়া মিশন থেকে এবার ৭৪জন মাধ্যমিক দিয়েছিল। তার মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে সুমাইয়া খাতুন (৬৩৩)। তারপর রয়েছে সুফিয়া খাতুন (৬৩১)। জিডি স্টাডি সার্কেলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিশিষ্ট শিক্ষাব্রতী ও সমাজসেবী মোস্তাক হোসেন সাহেব এবং জিডি মনিটরিং কমিটির চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন আইএএস আফিসার সেখ নূরুল হক সাহেব তাদের সমস্ত শাখার ফলাফলে আনন্দিত ও উৎফুল্ল। এই নজরকাড়া সাফল্যের জন্য তারা সকল ছাত্রছাত্রীর নিষ্ঠা ও অধ্যবসায়, শিক্ষক শিক্ষিকাদের আন্তরিক সহায়তার প্রশংসা করেছেন এবং সর্বোপরি আল্লাহর বিশেষ রহমতের জন্য শুকরিয়া আদায় করেছেন এবং সকলের কাছে দোয়ার আবেদন করেছেন।

Stay Connected

Advt.

%d bloggers like this: