মীযান ডেস্ক: সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন দেশটির সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী থারমান শানমুগারাতনাম। ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই অর্থনীতিবিদ পিপলস অ্যাকশন পার্টির সাবেক নেতা। এর আগে দেশটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন হালিমা ইয়াকুব নামে এক মুসলিম মহিলা। তাঁরই স্থলাভিষিক্ত হলেন থারমান। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে হালিমা ইয়াকুব ক্ষমতায় এসেছিলেন। তিনি সিঙ্গাপুরের অষ্টম ও প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট।
শুক্রবার সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট হয়। নির্বাচন কমিশন শুক্রবার রাতে জানায়, ৭০.৪ শতাংশ ভোট গণনা শেষে ৬৬ বছর বয়সী থারমান শানমুগারাতনাম জয়ী হয়েছেন। থারমান সিঙ্গাপুরের নবম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেবেন। এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে থারমান শানমুগারাতনামের প্রতিপক্ষ আরও দুজন প্রার্থী ছিলেন।
সিঙ্গাপুরে প্রেসিডেন্ট পদ ভারতের মতোই আলংকারিক ও সাংবিধানিক প্রধান। দেশের সরকার পরিচালনায় মূল ক্ষমতা থাকে প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্র সরকারের হাতে। তবে প্রেসিডেন্ট বা রাষ্ট্রপতি ইচ্ছা করলে সরকারের যে কোনও বিলে সই না করতেই পারেন। অথবা বিলটি পুনরায় বিবেচনার জন্য কেন্দ্র সরকারকে ফেরত পাঠাতে পারেন। সেক্ষেত্রে বিলের কোন অংশ সংশোধনের পরামর্শ দিতে পারেন রাষ্ট্রপতি। কিন্তু সরকার সেই পরামর্শ না নিয়ে সেই একই বিল আবারও রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠালে তখন রাষ্ট্রপতি তাতে সই করতে বাধ্য। কিন্তু কেন্দ্রের উচিৎ রাষ্ট্রপতির পদের প্রতি যথাযথ সম্মান ও মর্যাদা দিয়ে সেই পরামর্শকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বা সরকার সেটা নাও করতে পারে। উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপতি সই করলে যে কোনও বিল আইনে পরিণত হয়।
মালয়েশিয়া ভেঙে তৈরি হওয়া মূলত নগররাষ্ট্র সিঙ্গাপুরে সরকার পরিচালিত হয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে। বতমানে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী হলেন পিএপি-র নেতা লি সিয়েন লুং। এই দল ১৯৫৯ সাল থেকে টানা সিঙ্গাপুরের শাসন ক্ষমতায় রয়েছে। এতকাল তাঁর বাবা প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তাঁ প্রয়াণের পর ২০০৪ সাল থেকে লি সিয়েন লুং মসনদে রয়েছেন।