মীযান ডেস্ক: সরকারি স্কুলে এখন গ্রীষ্মকালীন ছুটি চলছে। এই অবকাশে জামাআতে ইসলামী হিন্দ ও স্টুডেন্টস ইসলামিক অর্গানাইজেশনের যৌথ উদ্যোগে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় চলছে সামার ইসলামিক স্কুল।
পূর্ব বর্ধমান: ইতিমধ্যেই পূর্ব বর্ধমান জেলার বড়শুল মোকামে শেষ হল দু-দিনের সামার ইসলামিক স্কুল। দ্বিতীয় দিনের স্কুলে উপস্থিত ছিলেন জামাআতের জেলা নাজিম শেখ তাহেরউদ্দিন সাহেব। বিভিন্ন ইভেন্টে অংশগ্রহণকারীদের হাতে এদিন পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। বেস্ট পার্টিসিপেন্ট অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয় বর্ধমান মডেল মাদ্রাসার ছাত্রী আয়েশা খাতুনকে। যৌথ পুরস্কার দেওয়া হয় ওই স্কুলেরই সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র মুন্তাসির মামুনকে। দুই দিনের স্কুলের উপর লিখিত পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে মুনতাসির মামুন, দ্বিতীয় হয় সোহেল মোল্লা এবং তৃতীয় শেখ মুজাহিদুল ইসলাম।
মুর্শিদাবাদ: এদিকে মুর্শিদাবাদ জেলার রানীনগর-১ ব্লকের ইসলামপুর ইউনিটের পক্ষ থেকে তৃতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে পাঁচ দিনের ‘হিদায়াহ্’ শীরোনামে গ্রীষ্মকালীন স্কুলের আয়োজন করা হয়। এই পাঁচ দিনে ছোটদের মেধার বিকাশ, উদ্ভাবনী দক্ষতা অর্জন ও শিক্ষামূলক বিনোদনের লক্ষ্যে কিছু শিক্ষণীয় কর্মসূচি সাজানো হয়। যেমন- উদ্ভাবনী ক্ষমতা: কাগজ দিয়ে ফুলদানি, পেনদানি ইত্যাদি তৈরি করা। বুদ্ধিমত্তা বৃদ্ধি: ভারতের মানচিত্রের ধারণা, পাজল্ গেল সলভ্, সাইকোলজিক্যাল গেম ইত্যাদি। অভিনয় দক্ষতা নির্মাণ: অভিনয় শেখানো হয়। অঙ্ক ও নির্ভুল বানান- অভিজ্ঞ শিক্ষকদের ক্লাস দিয়ে সহজে অঙ্ক করা এবং নির্ভুল বানান লেখার কৌশল শেখানো হয়। এছাড়াও হাতে-কলমে নামায প্রশিক্ষণ, আল্লাহর ৯৯ নাম মুখস্থ করা, দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় দোয়া ও তিনটি সূরা অর্থ-সহ মুখস্থ করানো হয়। ক্যাম্প শেষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারীকে পুরস্কৃত করা হয়। বাকিদের সকলকে সান্ত্বনা পুরস্কার দেওয়া হয়। এছাড়া অভিভাবকদের নিয়ে মিটিং ও মনোরম পরিবেশে ছাত্র-ছাত্রীদের ভ্রমণের মাধ্যমে ক্যাম্পের সমাপ্তি হয়।
হুগলি: হুগলি জেলার সিঙ্গুর এলাকার বাসুবাটী গ্রামে সামার ইসলামিক স্কুল চালু হয়েছে। প্রথম দিন ২৬ মে এই স্কুলে প্রায় ৮০ জন ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করে। এরপর আরও তিনটি রবিবার এই স্কুল হবে ইনশা আল্লাহ। প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়ারা এতে অংশ নেয়। উপস্থিত সকলকে খাতা, পেন, ছোটদের উপযুক্ত বিভিন্ন রকম ইসলামী বইপত্র উপহার দেওয়া হয়। সামার ইসলামিক স্কুলে মূলত ছাত্রছাত্রীদের ইসলামের মোলিক নীতিমালা বা প্রাথমিক ধারণা দেওয়া হয়, পাশাপাশি ইসলামের বিভিন্ন রকম তালিম ও তরবিয়াত দেওয়া হয়। এছাড়াও ইসলামি কুইজ, ক্কিরাত, তিলাওয়াতে অংশগ্রহণ করে কচিকাঁচা শিশুরা। শেষ দিন ১৬ জুন শিক্ষামূলক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও ৩য় স্থানাধিকারীদের পুরস্কার দেওয়া হবে। প্রথম দিনের সামার স্কুল শেষ হয় বাসুবাটী আয়মাপাড়া মসজিদের পেশ ইমামের দোওয়ার মাধ্যমে।