মীযান ডেস্ক: হিন্দুস্থান টাইমসের প্রকাশিত একটি খবর নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়াল দেশের রাজনৈতিক মহলে। শুধু বিজেপি নয়, সামগ্রিকভাবে এনডিএ জোটে হিন্দু ছাড়া অন্য কোনও ধর্মালম্বীর সাংসদ নেই বলে উঠে এসেছে ওই রিপোর্টে। বহু ধর্ম, বর্ণ, জাতির দেশ ভারতের কেন্দ্র সরকারের নেতৃত্ব যে দল বা জোটের হাতে থাকবে, তাদের এরকম একমাত্রিক সাংসদ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।
২৯৩ জনের এনডিএ জোটে সংখ্যালঘুদের কোনও প্রতিনিধি না থাকায় জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা তীব্র সমালোচনা করেছেন। উল্লেখ্য, এনডিএ জোটের শরীকরা আনুষ্ঠানিকভাবে নরেন্দ্র মোদীকে তৃতীয় বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য বেছে নেন এবং গতকাল রবিবার ৯ জুন সন্ধ্যায় শপথ নেন প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যরা।
ওমর আবদুল্লা বলেন, শুধু বিজেপি নয়, এবার সমগ্র এনডিএ জোট মুসলিম মুক্ত, খ্রিস্টান মুক্ত, বৌদ্ধ মুক্ত, শিখ মুক্ত। তা সত্ত্বেও কেন্দ্র সরকার ১৪০ কোটি ভারতীয়ের প্রতিনিধিত্ব করার দাবি করবে।’ ৫৪৩ সদস্যের লোকসভায় বিজেপি ২৪০ এবং এনডিএ জোট ২৯৩টি আসনে জয়লাভ করে, যা ২৭২ আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠতার চেয়ে কিছুটা বেশি। প্রধান বিরোধী দল হিসেবে কংগ্রেস পেয়েছে ৯৯টি আসন। আবার একজন নির্দল সাংসদও কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। সেই হিসেবে কংগ্রেসের লোকসভায় আসন সংখ্যা ১০০।
এনডিএ-র শরিক দলগুলির মধ্যে কোনও মুসলিম সাংসদ না থাকলেও বিরোধীদের ইন্ডিয়া জোটে ৭.৯ শতাংশ মুসলিম সাংসদ রয়েছেন। একইভাবে এনডিএ-তে কোনও খ্রিস্টান সাংসদ নেই, যেখানে ইন্ডিয়া জোটে ৩.৫ শতাংশ খ্রিস্টান সাংসদ রয়েছে। এনডিএ-তে একজনও শিখ সাংসদ নেই, যেখানে ইন্ডিয়া জোটে ৫ শতাংশ শিখ সাংসদ রয়েছেন।
এবার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের চারটি রাজ্যে বিজেপি খাতা খুলতে না পারায় খ্রীষ্টান সাংসদ নেই। অন্যদিকে জেডিইউ-র মতো শরিকদেরও কোনও সংখ্যালঘু সাংসদ না থাকায় অবাক হয়েছে রাজনৈতিক মানচিত্র। অতীতে বিজেপি অবশ্য বলেছে যে, তারা টিকিট দিলেও মুসলিমরা জেতে না। তাই নিজেদের যেটা শক্তি সেই অনুযায়ী তারা টিকিট দেয়। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বারবার বলেছেন, তিনি ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ নীতিতে বিশ্বাস করেন। এ ব্যাপারে তিনি নাকি কোনও তারতম্য করেন না। তাও তারা কোনও সংখ্যালঘু সাংসদকে জিতিয়ে আনতে পারেননি।
অন্যদিকে, রিপোর্ট মোতাবেক হিন্দুদের মধ্যে বিরোধীদের থেকে বিজেপিতে উঁচু জাতের বা উচ্চ বর্ণের সাংসদ সবথেকে বেশি আছে।