মীযান ডেস্ক: প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলের কুক দ্বীপপুঞ্জ ও নিউই দ্বীপকে ‘স্বাধীন ও সার্বভৌম’ রাষ্ট্রের মর্যাদা দিল আমেরিকা। যা নিঃসন্দেহে চীনের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনকে কূটনৈতিকভাবে আরও চাপে রাখতেই এমন পদক্ষেপ করল ওয়াশিংটন। মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দুটি দ্বীপরাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছি। এই দুই দ্বীপরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের সূচনা হবে। এই অঞ্চলের পরিকাঠামো উন্নয়নে ২ হাজার মিলিয়ন ডলার বিনিয়াগের প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।
বাইডেনের ধারণা, এর ফলে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল ‘মুক্ত ও অবাধ’ হবে, পাশাপাশি এই অঞ্চলে অবৈধ মাছ ধরা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে মোকাবিলা করতে সাহায্য করবে। সব মিলিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে হাঁটবে এই অঞ্চল। মার্কিন বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও নিউইয়ের প্রধান প্রশাক ডালটন টাগেলাগির যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে কূটনৈতিক সম্পর্কের শুরু হয়। কুক দ্বীপপুঞ্জ ও নিউইয়ের মোট জনসংখ্যা ২০ হাজারেরও কম। তবে প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক এলাকায় এদের দখল অনেকটাই।
স্বশাসিত হলেও নিউজিল্যান্ডের ওপর বিদেশ ও প্রতিরক্ষা নীতির জন্য নির্ভরশীল ছিল এরা। বিশ্ব রাজনীতিতে বেশ কয়েক বছর গুরুত্বহীন হয়ে ছিল প্রশান্ত মহাসাগরের এই অঞ্চল। সম্প্রতি আমেরিকা ও চীনের দ্বন্দ্বে খুব অর্থবহ হয়ে উঠেছে প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণাঞ্চল।
এই বিতর্কিত ঘোষণা এমন সময়ে হল, যখন দোরগোড়ায় ১৮টি সদস্য দেশকে নিয়ে প্যাসিফিক আইল্যান্ডস ফোরাম। এই ফোরাম মূলত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আমেরিকার প্রভাব বিস্তারের বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ। এই ফোরামে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার মতো বড় দেশ-সহ বিভিন্ন ছোট দ্বীপপুঞ্জ। কিন্তু এই ফোরামে নেই সলোমন দ্বীপ। এর প্রধানমন্ত্রী মানাসেহ সোগাভারে চীনের খুব ঘনিষ্ঠ।