মীযান ডেস্ক: ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি ও বন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আনা প্রস্তাব আটকে দিল আমেরিকা। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রস্তাবটি তোলা হয়। নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য সংযুক্ত আরব আমিরাত সহ ৯৭টি দেশ একযোগে গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব উত্থাপন করে।
১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে ১৩ দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। ভোটদানে বিরত ছিল স্থায়ী সদস্য ব্রিটেন। শেষ পর্যন্ত ভেটো ক্ষমতাধর আমেরিকা বিপক্ষে ভোট বা ভেটো দিলে প্রস্তাবটি আটকে যায়। অর্থাৎ আমেরিকার কারণেই গাজায় যুদ্ধবিরতি হল না। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্য দেশের ভেটো ক্ষমতা রয়েছে। তারা হল আমেরিকা, রাশিয়া, ব্রিটেন, চীন ও ফ্রান্স। এই ৫ সদস্যের মধ্যে কোনো একটি দেশ বিপক্ষে ভোট দিলে প্রস্তাব বাতিল হয়ে যায়।
ইজরায়েলের সবথেকে ঘনিষ্ঠ মিত্র আমেরিকা। গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ভেটো দেওয়ার পক্ষে সাফাই দিয়ে রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত মার্কিন প্রতিনিধি রবার্ট উড বলেন, ‘প্রস্তাবটি ভারসাম্যপূর্ণ নয়। এতে বাস্তবতা প্রতিফলিত হয়নি।’
এদিকে গাজা ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘ ও নিরাপত্তা পরিষদকে অকার্যকর করে রাখার জন্য আমেরিকার কড়া সমালোচনা করেছে রাশিয়া। আমেরিকার একপেশে নীতির কারণেই গাজায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার কূটনীতিবিদ দিমিত্রি পোলিয়ানস্কি।
তিনি বলেছেন, ‘আবারও আমেরিকার কূটনীতি ‘পোড়ামাটি নীতি‘র প্রতি সমর্থন জানাল এবং এ কারণে এই ধ্বংসযজ্ঞ ও গণহত্যা।’ ওয়াশিংটন ‘সাধারণ বোধবুদ্ধির’ পরিচয় দিতেও ব্যর্থ হয়েছে বলে তোপ দাগেন তিনি।
ভোটাভুটির পর রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত ইজরায়েলি দূত গিলাদ এরদান আমেরিকা ও প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে ধন্যবাদ জানান।