মীযান ডেস্ক: সদ্য সমাপ্ত অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির মহা বিপর্যয় ঘটে গিয়েছে উত্তরপ্রদেশে। শোনা যাচ্ছে এজন্য দায়ী নাকি অমিত শাহের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের দ্বন্দ্ব। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা সরল ব্যাখ্যা। মূল কারণ লুকিয়ে আছে অন্যত্র, সেটা বিজেপি প্রকাশ করছে না। যাই হোক এখন উত্তরপ্রদেশে ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে কেন্দ্র সরকারে সবথেকে বেশি মন্ত্রী করা হয়েছে উত্তরপ্রদেশ থেকে। অর্থাৎ নরেন্দ্র মোদির এনডিএ মন্ত্রিসভার সবচেয়ে বেশি সদস্য উত্তরপ্রদেশ থেকেই নির্বাচিত। এই রাজ্য থেকে মোট ৯ জন মন্ত্রী হয়েছেন। তবে ক্যাবিনেট বা পূর্ণামন্ত্রীর সংখ্যা মাত্র একজন। রাজনাথ সিং ছাড়া বাকি সকলেই রাষ্ট্রমন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রীর পদ পেয়েছেন।
সংখ্যার নিরিখে তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিহার। সেখান থেকে ৮জন মন্ত্রী হয়েছেন। আবার ক্যাবিনেট সদস্যের নিরিখে সবথেকে এগিয়ে রয়েছে বিহার। নীতীশ কুমারের রাজ্য থেকে ৪জন পূর্ণমন্ত্রী হয়েছেন। তৃতীয় স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। মোট ৬জন মন্ত্রী করা হয়েছে এই রাজ্য থেকে, তার মধ্যে দু’জন পূর্ণমন্ত্রী। গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থান পাঁচজন করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পেয়েছে। গুজরাতে ৫জন ক্যাবিনেট মন্ত্রীর মধ্যে রয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা, মনসুখ মাণ্ডব্য ও সিআর পাতিল। হরিয়ানা, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু তিনজন করে এবং ওড়িশা, অসম, ঝাড়খণ্ড, তেলেঙ্গানা, পাঞ্জাব, কেরল ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে দু’জন করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন।
বিহারের চারজন পূর্ণমন্ত্রীর মধ্যে তিনজনই শরিক দলের। এর মধ্যে রয়েছেন হাম দলের জিতমরাম মাঝি, জেডিইউ-এর লালন সিং ও এলজেপি-র চিরাগ পাসোয়ান। বিজেপির একমাত্র গিরিরাজ সিং পূর্ণমন্ত্রী হয়েছেন। মধ্যপ্রদেশের তিনজন ক্যাবিনেট মন্ত্রীর মধ্যে রয়েছেন শিবরাজ সিং চৌহান, বীরেন্দ্র কুমার ও জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। মহারাষ্ট্র থেকে পূর্ণমন্ত্রী হয়েছেন নীতিন গাদকরি ও পীযূষ গোয়েল। তামিলনাড়ু থেকে পূর্ণমন্ত্রী হয়েছেন নির্মলা সীতারামন ও এস জয়শঙ্কর। তবে এরা দু’জনেই অন্য রাজ্য থেকে রাজ্যসভার সাংসদ।
রাজস্থান থেকে তিনজন পূর্ণমন্ত্রী হয়েছেন অশ্বিনী বৈষ্ণব, ভূপিন্দর যাদব ও গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত। এর মধ্যে বৈষ্ণব ওড়িশা থেকে রাজ্যসভার সদস্য। ওড়িশা থেকে পূর্ণমন্ত্রী হয়েছেন ধর্মেন্দ্র প্রধান ও জুয়েল ওরাম। কর্ণাটক থেকে পূর্ণমন্ত্রিত্ব পেয়েছেন এইচ.ডি কুমারস্বামী ও প্রহ্লাদ যোশি। হিমাচল, অসম, ঝাড়খণ্ড ও অরুণাচল প্রদেশ থেকে পূর্ণমন্ত্রী হচ্ছেন জে.পি নাড্ডা (গুজরাট), সর্বানন্দ সোনওয়াল, অন্নপূর্ণা দেবী ও কিরেন রিজিজু। পাশাপাশি হরিয়ানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা ও পাঞ্জাব থেকে পূর্ণমন্ত্রী হচ্ছেন যথাক্রমে মনোহরলাল খট্টর, কে রামমোহন নাইডু, জি কিষান রেড্ডি ও হরদীপ সিং পুরী। এঁদের মধ্যে পুরী উত্তরপ্রদেশ থেকে রাজ্যসভার সদস্য।