মীযান ডেস্ক: গত ২৭ জুলাই ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট ড. মাহমুদ আব্বাস এবং হামাস-এর সর্বোচ্চ নেতা ইসমাইল হানিয়ার সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে মিলিত হন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগান। সে প্রসঙ্গে তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, এই বৈঠকের ‘ভিন্ন মাত্রা’ রয়েছে। সোমবার তিনি ফিলিস্তিনি স্বার্থ এবং ফিলিস্তিনি জনগণের সংগ্রামের প্রতি তুরস্কের সমর্থনের বিষয়টি আবারো ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে জোরালোভাবে সওয়াল করেন।
সোমবার রাজধানী আঙ্কারায় মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে এরদোগান বলেন, ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এবং হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়ার বৈঠকটি এই সফরের ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে। ফিলিস্তিনিদের মধ্যকার অভ্যন্তরীন মতপার্থক্যের অবসান হোক, তুরস্ক এটাই কামনা করে। ফিলিস্তিনিরা ঐক্যবদ্ধ না হলে তাদের স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র গঠন প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে। উল্লেখ্য, হামাসের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট আব্বাসের দল ফাতাহ-র রাজনৈতিক মতপার্থক্য রয়েছে। সেটাকেই ইঙ্গিত করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।
ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিরসনে পূর্ব জেরুসালেমকে রাজধানী করে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাসহ দৃঢ়ভাবে দ্বিরাষ্ট্র সমাধানে বিশ্বাস করে তুরস্ক। প্রেসিডেন্ট এরদোগান এর আগেও একাধিকবার বলেছেন, অন্য কোনও বিকল্প ফর্মূলা গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ, জেরুসালেমেই রয়েছে মহানবী (সা.)-এর মিরাজের স্মৃতি বিজড়িত এবং মুসলিম উম্মাহর প্রথম কিবলা পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস তথা মসজিদুল আকসা। তাই ফিলিস্তিন কেবলমাত্র একটা নির্দিষ্ট ভূখণ্ড বা জনগোষ্ঠীর নাম নয়। ফিলিস্তিন হল সমগ্র মুসলিম বিশ্বের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই জেরুসালেম বিহীন ফিলিস্তিন হল ধড়বিহীন মুণ্ডু। মুসলিম উম্মাহ এরকম মাথা কাটা ফিলিস্তিনকে কখনোই মেনে নেবে না।