মীযান ডেস্ক: কেন্দ্র সরকার যেখানে নানান অজুহাতে একের পর এক মাইনোরিটি স্কলারশিপ বন্ধ করে দিচ্ছে, রাজ্য সরকার সেখানে সংখ্যালঘু উন্নয়নে দেশের মধ্যে সেরা হয়েছে। সংখ্যালঘু উন্নয়ন তহবিলের বরাদ্দ অর্থ খরচের নিরিখে দেশের মধ্যে সেরা পশ্চিমবাংলা। গত পাঁচ বছরে ‘ন্যাশনাল মাইনরিটিস ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ফিনান্স কর্পোরেশন’-এর বিভিন্ন প্রকল্প সবচেয়ে সার্থকভাবে রূপায়ণ করেছে পশ্চিমবাংলা সরকার। তার জেরেই কেন্দ্রীয় সরকারের সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রক পুরস্কৃত করেছে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল মাইনরিটিস ডেভলপমেন্ট অ্যান্ড ফিনান্স কর্পোরেশন’-কে। এর একটা অন্যতম কারণ, কেন্দ্র সরকার গোটা দেশের জন্য সংখ্যালঘু উন্নয়ন খাতে যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করে, তার থেকে অনেক বেশি বরাদ্দ করে পশ্চিম সরকার তাদের বাজেটে। কেন্দ্র সরকারের বিচারে ‘র্যাঙ্ক ওয়ান’ হয়েছে পশ্চিমবাংলা। সম্প্রতি সংখ্যালঘু উন্নয়ন তহবিল নিয়ে রাজ্যগুলির সঙ্গে বৈঠক করে কেন্দ্র। সেখানেই বাংলার সাফল্যকে সেরার স্বীকৃতি দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, আর্থিকভাবে দুর্বল সংখ্যালঘু পরিবারের বেকার ছেলে-মেয়েদের ব্যবসা করার জন্য মাথা পিছু ৫ লাখ টাকা ঋণ দেয় ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল মাইনরিটি ডেভলপমেন্ট অ্যান্ড ফিনান্স কর্পোরেশন’। বছরে তার জন্য নামমাত্র হারে সুদ দিতে হয়। অবশ্য সুদ ইসলামে হারাম হওয়ায় অনেকে এই ঋণ নিতে ইতস্তত করে বা নেয় না। প্রসঙ্গত, রাজ্যের মাদ্রাসাগুলি বর্তমানে অনেক উন্নত হয়েছে, সংখ্যালঘু ছেলেমেয়েরা এখন বিসিএস, আইএএস, আইপিএস ইত্যাদি হচ্ছে। গত জুলাই মাসে বিধানসভায় এমনই মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাদ্রাসাগুলির যাতে আরও উন্নতি হয়, সে দিকে এবার আরও বেশি নজর দেওয়ার কথাও বলেছিলেন মমতা। সেই সঙ্গে মাদ্রাসাগুলির উন্নয়নে কমিটি গঠন করার কথাও বলেছিলেন তিনি। তারই অংশ হিসেবে গত মাসে খারেজি মাদ্রাসাগুলোর স্বেচ্ছায় সরকারি নথিভুক্তির কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা যাতে খারেজি মাদ্রাসার পড়ুয়ারাও পায়, সেজন্য সরকারি রেজিস্ট্রেশন করাতে পারে তারা।