মীযান ডেস্ক: মে মাসে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আরবিআই জানিয়ে দেয়, সমস্ত ২ হাজার টাকার নোট জমা করতে হবে ব্যাংকে। এর জন্য শেষ সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩। বলা হয়েছিল, একবারে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত জমা করা যাবে। যে কোনও ব্যাংকেই এই নোট জমা করে কিংবা বদলে ফেলে অন্য নোট নেওয়া যাবে। আচমকা এই ঘোষণার পরই ক্র্যাশ করে যায় রিজার্ভ ব্যাংকের ওয়েবসাইট। আবার নতুন করে নোট ‘বন্দি’র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে আমজনতার মধ্যে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সেই ঘোষণার পর কেটে গিয়েছে তিন মাসেরও বেশি সময়। অবশেষে শুক্রবার রিজার্ভ ব্যাংক জানিয়ে দিল, ইতিমধ্যেই জমা পড়ে গিয়েছে ৯৩ শতাংশ নোট। সব মিলিয়ে ৩.৩২ লক্ষ কোটি টাকা মূল্যের ২ হাজার টাকার নোট তাদের হাতে এসে গিয়েছে। পরে অবশ্য জানা যায়, ৩০ সেপ্টেম্বরের পরও ২০০০ টাকার নোটকে বৈধ ভারতীয় কারেন্সি বা মুদ্রা বলে গণ্য করা হবে। অর্থাৎ ব্যাংক থেকে ব্যাংক লেনদেনের ক্ষেত্রে এই নোট বৈধ বলেই ধরা হবে। এখন কথা হল হাতে সময় এক মাস, এখনও বাইরে পড়ে রয়েছে ৭ শতাংশ ২ হাজার টাকার নোট। এই ৭ শতাংশ নেহাৎ কম নয় কিন্তু। এখনও যাদের কাছে ২ হাজার টাকার গোলাপী নোট রয়ে গিয়েছে, তাদের জন্য সময় মাত্র ২৮ দিন বাকি। আরবিআই-এর হিসেব অনুযায়ী, ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাজারে ০.২৪ লক্ষ কোটি মূল্যের ২ হাজার টাকার নোট রয়েছে। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাজারে ২ হাজার টাকার নোটের মোট মূল্য ছিল ৩.৬২ লক্ষ কোটি।